পেকুয়া সংবাদদাতা:

পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ জাহাঙ্গীর আলমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্ত্রী নয়ন বেগম, শ্বশুর শাহাবউদ্দিন, শালা সেকাব উদ্দিন, শ্যালিকা রুবি আকতার ও বেবি আকতার আহত হয়। জাহাঙ্গীর আলম একই ইউনিয়নের পাহাড়িয়া খালী এলাকার জাফর আলমের ছেলে।

সোমবার (১৮জুলাই) দিনগত রাত দেড়টার দিকে পাহাড়িয়া খালী এলাকায় প্যালেন চেয়ারম্যানের শ্বশুর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা তাকেসহ আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার মধ্যে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নয়ন মনি বলেন, গত দুইদিন বছর ধরে স্বামীসহ পিতার বাড়ীতে থাকতেন। গতকাল রাতে পুলিশ পরিচয়ে ১৪/১৫ জনের একদল লোক এসে ঘরের দরজা খুলতে বলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মনে করে আমার পরিবারের এক সদস্য দরজা খুলে দিলে পরিবারের সকল সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার স্বামীকে কুপিয়ে ও বন্দুক দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্বৃত্তের মারধরে পরিবারের আরো চার সদস্যও আহত হয়েছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বারবাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলমের নেতৃত্বে দুই শতাধিক লোক নিয়ে থানা ঘেরাও করে প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের উপর হামলার বিচার দাবী করেন। এ সময় পুলিশ প্রশাসন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে তারা চলে যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জাহাঙ্গীর আলমের প্রতিপক্ষরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি। ইতিমধ্যে এ ঘটনা নিয়ে সম্ভাব্য জড়িতদের আটক করতে পুলিশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।